‘রূপ’ শব্দটি আমাদের অতি পরিচিত। আমরা এই শব্দটির বহুল ব্যবহারও করি। এই শব্দের আগে উপসর্গ যোগ করে লিখি- অপরূপ, বিরূপ, সুরূপ-সুরূপা, কুরূপ-কুরূপা ইত্যাদি। আবার এরূপ, স্বরূপ, তদ্রূপ, বিদ্রূপ, বহুরূপ-বহুরূপী, মানুষরূপী, রূপক, রূপকথা, রূপবান, রূপসী, রূপোপজীবিনী, রূপায়ণ ইত্যাদি কত শব্দই না আমরা লিখে থাকি এক ‘রূপ’ শব্দ থেকেই। 🤔
এত ধরনের রূপের ব্যবহার করতে গিয়ে এই ‘রূপ’ শব্দের সাদৃশ্যে আমরা আরও দুটি শব্দ অহরহ লিখে থাকি; শব্দদুটি হলো ‘রূপা’ ও ‘রূপালি’। খুব স্বাভাবিকভাবে সরল বিশ্বাসে এই দুটি শব্দ লেখার সময় আমরা অবচেতন মনে ঊ-কার ব্যবহার করে থাকি। অথচ এই দুটি শব্দে উ-কার ব্যবহৃত হবে এবং সঠিক বানান হবে ‘রুপা’ ও ‘রুপালি’। 🤗
‘রুপা’ শব্দটি অর্ধতৎসম শব্দ। সংস্কৃত ‘রূপ্য’ শব্দ থেকে এই শব্দটি এসেছে। আর ‘রুপা’ শব্দের সাথে –আলি প্রত্যয় যোগ হয়ে গঠিত হয়েছে ‘রুপালি’ শব্দটি। 🔥
অনেকে ‘রুপালি’ বানানে শেষে ঈ-কার ব্যবহার করে একই শব্দে ২য় ভুলও করে থাকেন। সুতরাং এ বিষয়টিও খেয়াল রাখা দরকার। -আলি প্রত্যয়যুক্ত সকল শব্দেই ই-কার হবে। 👉
সংস্কৃত শব্দের ঊ-কার অর্ধতৎসম শব্দে উ-কার হয়েছে এমন উদাহরণ কিন্তু আরও আছে। যেমন-
পূর্ব>পুব>পুবালি;
সূর্য>সুরুজ;
ভূরি>ভুঁড়ি;
কূপ>কুয়া;
মূলক>মুলা ইত্যাদি।
সূর্য>সুরুজ;
ভূরি>ভুঁড়ি;
কূপ>কুয়া;
মূলক>মুলা ইত্যাদি।
বরাবরের মতো আপনাদের যেকোনো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসাকে স্বাগত জানাই। যাঁরা শেখার উদ্দেশ্যে লেখাটি পড়েছেন তাঁদেরকে ধন্যবাদ। 👌
লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল নোমান
No comments:
Post a Comment