Thursday, November 8, 2018

তফসিল কি? নির্বাচনের তফসিলে কী থাকে?

তফসিল


তফসিল কি? নির্বাচনের তফসিলে কী থাকে?

তফসিল ২০১৮ - একাদশ সংসদ নির্বাচন।

তফসিল নিয়ে মোটামুটি ধারনা থাকলেও অনেক প্রশ্নই আমাদের মনে এসে যায়। তফসিল মানেই কি নির্বাচনের তারিখ?

আসুন জেনে নেই।

তফসিল কি?



নির্বাচনের সাথে জড়িত খুঁটিনাটি অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত জড়িত এই তফসিলের সাথে। তফসিল হলো লিখিত ও ঘোষিত কিছু সময় ও সিদ্ধান্ত। নির্বাচনের তফসিলে নির্বাচনের তারিখ, প্রার্থিতার মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয়, নির্বাচনী প্রচারণা সংক্রান্ত নিয়মাবলী এবং প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীক সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ থাকে।
তফসিল ২০১৮ - একাদশ সংসদ নির্বাচন।

নির্বাচনের তফসিলে কী থাকে?



নির্বাচন আয়োজন করার জন্য যেসব কাজকর্ম জড়িত রয়েছে তার সবকিছুর জন্যে একটি সময় বেঁধে দেয়া হয়।
যেমন প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতার মনোনয়নের কাগজ কত তারিখ জমা দেয়া শুরু করতে পারবেন সেটি ঘোষণা করা হয়।
মনোনয়নের কাগজ নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে বাছাই করবে, বাছাই প্রক্রিয়ায় যদি সেটি বাতিল হয়ে যায় তাহলে প্রার্থিতা প্রত্যাশী ব্যক্তি কতদিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবে তার সময় বেঁধে দেয় কমিশন।

যারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তাদের তালিকা কবে নাগাদ ছাপানো হবে, নির্বাচনী প্রচারণা কবে থেকে শুরু করা যাবে আর কতদিন পর্যন্ত তা চালানো যাবে - সেটির উল্লেখ থাকে।
সাধারণত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীক ঘোষণার সাথে প্রচারণা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত থাকে।

নির্বাচন কয় তারিখ হবে, ক'টায় শুরু হবে আর ক'টা পর্যন্ত চলবে সেটির বিস্তারিত এবং ভোটের পর তার গণনা কিভাবে ও কোথায় হবে সেটিরও বৃত্তান্ত থাকে।

এই পুরো বিষয়টিকেই নির্বাচনের তফসিল বলা হয়।

তফসিলের সিদ্ধান্ত কারা নেয়?

কিছু বিষয় সংবিধানে একদম নিশ্চিত করে বলা আছে।

তাই সেগুলো নিয়ে আদৌ কোন সিদ্ধান্ত নেয়ারই দরকার হয়না।
যেমন সংবিধানে বলা আছে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
অর্থ্যাৎ ২৮শে জানুয়ারি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।কিন্তু এই ৯০ দিনের মধ্যে কবে নির্বাচনের তারিখ সেটি ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

কমিশনারদের মধ্যে সেটি নিয়ে এবং নির্বাচনের তফসিলের অন্যান্য সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
তারপর বেশিরভাগ কমিশনার যে সিদ্ধান্ত দেয় সেটি গৃহীত হওয়ার কথা।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর কি বদল করা যায়?


নির্বাচন কমিশন চাইলে সংসদ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ঐ ৯০ দিনের মধ্যে দেয়া নির্বাচনের তারিখ বদলাতে পারে।তারিখ এখনই ঘোষণা না করার অনুরোধ করেছে জাতিয় ঐক্য ফ্রন্ট।

যদি সেটি দরকার হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের সেই এখতিয়ার রয়েছে।সেক্ষেত্রে তফসিল সংশোধন করে দেয়া যায়।
এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য তারিখগুলো পরিবর্তন করে দিতে পারে কমিশন।

ডঃ এম সাখাওয়াত হোসেন একটি নমুনা দিয়ে বলছিলেন, ২০০৮ সালে ডঃ এটিএম শামসুল হুদার নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ নির্বাচনের তারিখ দিয়েছিলো।

কিন্তু বিএনপি তখনো নির্বাচনে আসবে কিনা সেনিয়ে নানা ধরনের আলোচনা চলছিল।

এরপর বিএনপির সাথে আলোচনার পর তাদের দাবির ভিত্তিতে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে ২৯ ডিসেম্বর করা হয়েছিলো।

এবারও যে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট তৈরি হয়েছে সেই জাতিয় ঐক্যফ্রন্ট সংলাপের মাধ্যমে সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা না করার অনুরোধ জানিয়েছে।

২০০৬ সালে একবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক সংকটের মুখে নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করেছিলো।
কিন্তু নির্বাচনের তারিখটি রয়ে গিয়েছিলো। সেই তারিখ পরে বাতিল করেছিলো আদালত।

No comments:

Post a Comment